OURBANGLANEWS DESK ।
টি-ব্যাগ থেকে শরীরে ঢুকছে কোটি কোটি বিষাক্ত প্লাস্টিক কণা!
কর্মব্যস্ততা ও চটজলদি চা বানানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় টি-ব্যাগ ব্যাবহার করা হয়।
সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে, এ টি-ব্যাগের মাধ্যমে কোটি কোটি বিষাক্ত প্লাস্টিক কণা আমাদের শরীরে ঢুকছে।
‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামের একটি মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নাথালি টুফেঙ্কজি পরীক্ষা করে দেখেন,
‘প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগগুলো গরম জলে ডোবালে সেগুলো থেকে গরম চায়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা মিশে যায়।
তিনি ও তার সহকারী গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, একটি টি-ব্যাগ থেকে চায়ের সাথে ১,১০০ কোটি (১১ বিলিয়ন) মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ৩০০ কোটি ন্যানোপ্লাস্টিক কণা মিশছে’।
অধ্যাপক টুফেঙ্কজি জানান, ‘বেশ কয়েকটি সংস্থা কাগজের পরিবর্তে প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগ বানাচ্ছে।
আর এই সব টি-ব্যাগ থেকেই আমাদের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ।
এছাড়াও তারা কিছু ক্ষেত্রে কার্সিনোজেনের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন।
অধ্যাপক টুফেঙ্কজির মতে, ‘টি-ব্যাগে যে পিনের সাহায্যে সুতো আটকানো থাকে সেই পিনও আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ঘাতক হতে পারে’।
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা এফএসএসআই- টি ব্যাগে পিনের বিষয়ে অধ্যাপক টুফেঙ্কজির সাথে একমত হয়ে চা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে, টি-ব্যাগের পিনের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকেরাও টি-ব্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা করছেন।
নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে,
‘টি-ব্যাগের সাহায্যে একজন ব্যক্তির শরীরে এক সপ্তাহে প্রায় ৫ গ্রাম প্লাস্টিক প্রবেশ করে’।
গবেষকরা, টি-ব্যাগে ব্যবহৃত উপাদান সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।